• Skip to primary navigation
  • Skip to main content
  • Skip to primary sidebar

রূপকথন

Healthier Lifestyljhhe Choices

  • Facebook
  • Home
  • Shop
  • Blog
    • মেকআপ
      • ব্রাইডাল মেকআপ
      • সেলিব্রিটি মেকআপ
      • চোখের সাজসজ্জা
      • মুখের রূপসজ্জা
      • লিপ মেকআপ
      • মেকআপের ধারণা
      • মেহেদী ডিজাইন
      • নখের ডিজাইন
    • চুলের যত্ন
    • ত্বকের যত্ন
    • চুল স্টাইল
    • স্বাস্থ্য ও সুখ
      • ফিটনেস
      • স্বাস্থ্যকর খাবার
      • ওজন বৃদ্ধি
      • ওজন কমানো
      • যোগ ব্যায়াম
      • ডায়েট টিপস
      • আয়ুর্বেদ
  • Contact Us

Mohona

৩ টি কার্যকরী উপায়ে ফেইস প্যাক ব্যবহার করে আজই পরিষ্কার এবং আকর্ষণীয় ত্বক পেতে পারেন [নিয়ম দেওয়া হলো]

by Mohona Leave a Comment

পরিষ্কার এবং সুন্দর ত্বক পাওয়া প্রতিটি নারীর স্বপ্ন কিন্তু বর্তমান সময়ের ব্যস্ত রুটিন, দূষিত পরিবেশ এবং সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মির কারণে স্বাস্থ্যকর এবং পরিষ্কার ত্বক বজায় রাখা খুবই কষ্টকর হয়ে দাড়িয়েছে।

ব্রণ, দাগ, রোদে পুড়ে যাওয়া ত্বক এবং অন্যান্য কারণগুলি পরিষ্কার নিখুঁত ত্বক যা আমরা সবসময় আশা করি সেই ত্বক পেতে বাঁধা সৃষ্টি করে।

স্কিন কেয়ার শিল্পের বৃদ্ধির সাথে সাথে এই সমস্যাগুলোর সমধান করা যাচ্ছে কিন্তু পরিষ্কার এবং উজ্জ্বল ত্বক পাওয়ার জন্য আরো অনেক সহজ পদ্ধতি আছে। পরিষ্কার এবং উজ্জ্বল ত্বকের জন্য এখানে কিছু ঘরে তৈরি ফেইস প্যাক দেওয়া হলো যা খুব সহজে বানিয়ে প্রাকৃতিক উপায়ে নিখুঁত ত্বক পাওয়া সম্ভব।

পরিষ্কার ত্বকের জন্য ৩ টি ফেইস প্যাক

১. নিম, বেসন এবং দইয়ের ফেইস প্যাক

উপকরণ

  • কিছু নিম পাতা/নিম পাতার গুঁড়ো
  • ১ টেবিল চামচ বেসন
  • ১ চা চামচ দই

প্রক্রিয়া

  • একটি পাত্রে দই নিন।
  • তারপর বেসন যোগ করুন এবং পেস্ট তৈরি করুন।
  • কিছু পেস্ট করা নিম পাতা/নিম পাতার গুঁড়ো নিন এবং সবকিছু একসাথে মিশিয়ে নিন।
  • মিশ্রণটি মুখে লাগান। ১০-১৫ মিনিট শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত মুখে রেখে দিন এবং ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।

দই ত্বক নরম ও ময়েশ্চারাইড করে এবং নিম পাতা উজ্জ্বল ত্বক প্রদান করতে সাহায্য করে। নিম পাতা ফেইস প্যাকগুলোতে এ্যান্টিসেপ্টিক হিসেবেও ব্যবহার করা হয়। এটি ব্রণের জালা-পোড়া কমিয়ে ব্রণকে শীতল করে তুলে। এটি খুবই ভালো প্রাকৃতিক এজেন্ট এবং আগের থেকেও আরো দীর্ঘ সময় ধরে পরিষ্কার ত্বক প্রদান করার উপাদান হিসেবে পরিচিত।

২. বাদাম, মধু এবং জাফরানের ফেইস প্যাক

উপকরণ

  • ৪/৫ টা বাদাম পানি/দুধে সারারাত ভিজিয়ে রাখুন
  • ১ চা চামচ মধু
  • কিছু জাফরান ২ টেবিল চামচ গরম দুধে ভিজিয়ে রাখুন
  • ১ চা চামচ লেবুর রস

প্রক্রিয়া

  • ভিজানো বাদাম গুলো নিন এবং এদেরকে পেস্ট করে নিন।
  • জাফরান ভিজানো দুধ পেস্টে মিক্স করুন এবং মধু ও লেবুর রস যোগ করুন।
  • একটি মশ্রিণ পেস্ট তৈরি করুন এবং আপনার মুখে সমানভাবে লাগান, ১০-১৫ মিনিট মুখে রেখে দিন।
  • শুকিয়ে গেলে দুধ অথবা ঠান্ডা পানিতে ভিজানো তুলো দিয়ে পরিষ্কার করে ফেলুন।

এই প্যাকটি আপনার ত্বকে উজ্জ্বল আভা প্রদান করবে। জাফরান ত্বক ফর্সা করতে সাহায্য করে এবং স্পটের উপস্থিতি কমাতে সাহায্য করে; মধু ত্বক টান টান করে; বাদামের সাথে লেবু ত্বকের মৃত চামড়া দূর করে এবং এটি ত্বক পরিষ্কার এবং উজ্জ্বল করে।

৩. কলা এবং দইয়ের ফেইস প্যাক

উপকরণ

  • একটি খোসা ছাড়ানো পাকা কলা এবং পেস্ট করে নিতে হবে।
  • ১ টেবিল চামচ দই
  • ১ চা চামচ মধু
  • ১ চা চামচ লেবুর রস

প্রক্রিয়া

  • একটি পাত্রে পেস্ট করা কলা এবং দই মিশান।
  • মিশানোর পর মধু এবং লেবুর রস যোগ করুন এবং সব কিছু একসাথে মিশিয়ে মশ্রিণ পেস্ট তৈরি করুন।
  • এই ফেইস প্যাকটি মুখে ও গলায় লাগান এবং শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত রেখে দিন।
  • শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন।

লেবু একটি প্রাকৃতিক ব্লিচিং এজেন্ট এবং আপনাকে পরিষ্কার উজ্জ্বল ত্বক পেতে সাহায্য করে। কলাও উজ্জ্বল ত্বকের জন্য খুবই ভালো। দই ত্বক ময়েশ্চারাইজড করতে সাহায্য করে।

কিভাবে প্রাকৃতিকভাবে পরিষ্কার ত্বক পাওয়া যাবে এই প্রশ্নটি নিশ্চয়ই এখন আর আপনাকে চিন্তায় ফেলবে না। কেন আপনি প্যাকেটজাত পণ্যের উপর নির্ভর করবেন যখন আপনার বাসার রান্নাঘরেই পরিষ্কার ত্বক পাওয়ার সবচেয়ে ভালো উপায় আছে।

Filed Under: Face Packs and Masks

৫ টি গ্রীষ্মকালীন ফেইস প্যাক যা মিশ্র ত্বকের জন্য কার্যকরী (চূড়ান্ত নিয়মকানুন)

by Mohona Leave a Comment

মিশ্র ত্বক নিয়ে কাজ করা সামান্য জটিল হতে পারে। তৈলাক্ত এবং শুষ্ক ত্বকের মিশ্রণে মিশ্র ত্বকের সৃষ্টি, তাই এই ত্বকের জন্য আপনার বিশেষ পণ্য এবং বিশেষ যত্নের প্রয়োজন যাতে আপনার ত্বক ভালোভাবে পুষ্টি এবং যত্ন পায়।

মিশ্র ত্বক এমন এক ধরণের ত্বক যেখানে আপনার ত্বকের কিছু অংশ শুষ্ক হয় এবং অপরদিকে কিছু অংশ তৈলাক্ত হয়। যাদের মিশ্র ত্বক তাদের মধ্যে বেশিরভাগ মানুষের কপাল, নাক, চিবুক তৈলাক্ত হয় আর অন্যদিকে মুখের চারপাশ এবং গাল শুষ্ক হয়।

আর গ্রীষ্মকাল মিশ্র ত্বকের অধিকারীদের জন্য খুবই কষ্টদায়ক, কারণ একদিকে আপনি ঘাম এবং তৈলাক্ততা কমাতে চাবেন, কিন্তু অপরদিকে আপনাকে ত্বকের শূষ্কতারও যত্ন নিতে হবে।

মিশ্র ত্বকের জন্য বিশেষভাবে তৈরি পন্য খুঁজে পাওয়াটা হয়ত একটু কষ্টসাধ্য হতে পারে। এইসব পণ্য খুবই অল্প এবং সীমাবদ্ধ, এবং মাঝে মাঝে সবার উপর কাজ নাও করতে পারে। আপনার মিশ্র ত্বকের যত্ন নেওয়ার জন্য সবচেয়ে ভালো উপায়টি হলো ঘরে তৈরি কিছু মিক্স ব্যবহার করা যেগুলো আপনার ত্বকের সমস্যা দূর করার সাথে সাথে আপনার ত্বককে শীতলও রাখবে।

মিশ্র ত্বকের জন্য গ্রীষ্মকালীন ফেইস প্যাকঃ

যদি আপনার ত্বক মিশ্র হয় তাহলে নিম্নলিখিত ঘরে তৈরি সেরা ৫ টি গ্রীষ্মকালীন ফেইস প্যাকগুলো ব্যবহার করে দেখতে পারেন।

১. মধু, দই এবং গোলাপজলের ফেইস প্যাক

  • মধু, দই এবং গোলাপজল সবগুলো উপকরণ সমপরিমাণে নিয়ে মিশিয়ে নিন। (প্রতিটি ১ টেবিল চামচ)
  • সমানভাবে মুখে লাগান।
  • ১৫-২০ মিনিট মুখে রেখে দিন।
  • স্বাভাবিক পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।

এই প্যাক কিভাবে সাহায্য করে?

মধু এবং দই ত্বকে শীতল প্রভাব ফেলার জন্য পরিচিত। এরা শুষ্কতার সাথে যুদ্ধ করে এবং আপনার ত্বকের আদ্রতা বজায় রাখে। গোলাপজল তৈলাক্ততা নিয়ন্ত্রন করবে এবং সেই সাথে আপনার ত্বকে সতেজতা প্রদান করবে, বিশেষ করে গ্রীষ্মকালে। এছাড়াও গোলাপজল খুব ভালো সূর্য প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে।

২. ওটস এবং বাদামের ফেইস প্যাক

ওটস মিশ্র ত্বকের জন্য খুবই উপকারী।

  • ১০ টি বাদাম পানিতে সারারাত ভিজিয়ে রাখুন।
  • পরের দিন সকালে বাদামগুলোর পেস্ট তৈরি করে নিন।
  • ১ টেবিল চামচ ওটস, ১ চা চামচ মধু এবং দই এর সাথে যোগ করুন।
  • মশ্রিণ পেস্ট পেতে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন।
  • মুখে মিশ্রণটি লাগান এবং ১৫-২০ মিনিট অপেক্ষা করুন।
  • পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।

এই প্যাক কিভাবে সাহায্য করে?

ওটস আপনার ত্বকের অতিরিক্ত তেল স্ক্রাব করে ফেলতে সাহায্য করবে এবং বাদাম আপনার শুষ্ক ত্বকের পুষ্টি পুনরায় ফিরিয়ে দিতে সাহায্য করে।

৩. পেঁপে এবং কলার ফেইস প্যাক

যখন আপনার ত্বকের যত্নের কথা আসে তখন পেঁপে এবং কলা খুবই ভালো ফল।

  • কিছু পেঁপে এবং কলা ভর্তা করে নিন এবং একসাথে মিশিয়ে নিন।
  • এখন এতে সামান্য মধু মিশান।
  • সবকিছু একসাথে ভালোভাবে মিশিয়ে মশ্রিণ পেস্ট তৈরি করুন।
  • আপনার মুখে লাগান এবং শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত রেখে দিন।
  • শুকিয়ে গেলে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

এই প্যাক কিভাবে সাহায্য করে?

কিছুক্ষণ পর দেখুন আপনার ত্বক কত উজ্জ্বল দেখাচ্ছে। উজ্জ্বলতা এবং অতিরিক্ত তেল নিয়ন্ত্রণে থাকবে এবং ত্বকের শুষ্ক স্থানগুলোও যথেষ্ট নরম হবে।

৪. মুলতানি মাটির ফেইস প্যাক

ঘরে তৈরি বেশিরভাগ ফেইস প্যাকগুলোতে মুলতানি মাটি একটি প্রধান উপকরণ এবং এমনকি মার্কেটে সহজলভ্য প্যাকগুলোতেও। শুধুমাত্র মুলতানি মাটি একাই শুষ্ক ত্বক ঠিক রাখতে পারে। আপনার ত্বক যাতে প্রয়োজনীয় ময়েশ্চার পায় তার জন্য এর সাথে সবসময় গোলাপজল যোগ করা সর্বোত্তম উপায়।

  • মুলতানি মাটি এবং গোলাপজল মিশিয়ে নিন।
  • আপনার মুখে লাগান এবং শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত রেখে দিন।
  • পরিষ্কার পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।

এই প্যাকটি কিভাবে সাহায্য করে?

এই প্যাকটি আপনার ত্বক শীতল এবং সতেজ করে।

৫. শসার ফেইস প্যাক

  • একটি শসার অর্ধেক নিয়ে পেস্ট করে নিন এবং এর সাথে ১ চা চামচ মধু এবং আধা চা চামচ দুধের ক্রিম মিশান।
  • আপনার মুখে এটি লাগান।
  • ২ টি শসার টুকরো আপনার চোখে রাখুন।
  • শুকিয়ে গেলে অথবা ১৫-২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।

সকল ফেইস প্যাকে ব্যবহৃত প্রাকৃতিক উপাদানগুলো সম্পর্কে কিছু তথ্যঃ

  • মধু এবং কলা খুবই ভালো প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার।
  • দই ত্বক কোমল এবং হাইড্রেট করে।
  • ওটস এবং পেঁপে নতুন ত্বক বের করে আনে এবং মরা চামড়ার কোষ দূর করে।
  • বাদামে থাকা ভিটামিন ই তেল ত্বকে পুষ্টি জোগায়।
  • গোলাপজল ত্বকের শুষ্ক এবং তৈলাক্ত স্থানের ভারসাম্য রক্ষা করে।
  • মুলতানি মাটি এবং শসা শীতলতা এবং সতেজতা প্রদান করে।

Filed Under: Face Packs and Masks

দইয়ের ১০ টি সহজ কার্যকরী ফেইস প্যাক যা সব ধরণের ত্বকের জন্য উপকারি (আজই ব্যবহার করুন)

by Mohona Leave a Comment

ত্বকের যত্ন কৌশলপূর্ণ হতে পারে। আমাদের মধ্যে অধিকাংশ মানুষই জানে যে শুধু মাত্র CTM রুটিন আমাদের মুখ উজ্জ্বল রাখার জন্য যথেষ্ট নয়। আপনার ত্বকের জন্য উপযুক্ত পন্য খোঁজা যেমন সময় সাপেক্ষ, তেমনি অনেক ব্যয়বহুল।

যখন আমরা আমাদের যা আছে তা দিয়ে করার চেষ্টা করি তখন আমরা অনুভব করি যে আমাদের ত্বক আগে যেমনটা ছিল এখন আর তেমন নেই। এই কারণে আমি বিভিন্ন ধরণের ত্বকের জন্য দইয়ের এই ১০ টি কার্যকর ফেইস প্যাকের তালিকা তৈরি করেছি যা আপনার ত্বককে সুরক্ষিত রাখবে এবং আপনার সময়, শক্তি এবং টাকা বাঁচাবে। কিন্তু এই সম্পর্কে জানার আগে চলুন দেখে নেই দই কিভাবে আপনার ত্বককে সাহায্য করে।

আপনার মুখে দই লাগানোর উপকারিতা

  • আপনার ত্বক পরিষ্কার করে- দইয়ে ল্যাকটিক এসিড আছে যা এর শেডিং প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আপনার ত্বককে সাহায্য করে। এটি আপনার ত্বককে ২৪*৭ প্রাণবন্ত, সতেজ এবং স্বাস্থ্যকর দেখাতে সাহায্য করে।
  • আপনার ত্বকে পুষ্টি জোগায়- অপরিহার্য ফ্যাট, প্রোটিন, ভিটামিন এবং মিনারেলের উপস্থিতি আপনার ত্বকে পুষ্টি জোগাতে সাহায্য করে এবং ত্বক স্বাস্থ্যকর রাখে।
  • ত্বকের স্বাস্থ্য বজায় রাখে- দইয়ে এ্যন্টি-ব্যাক্টেরিয়াল বৈশিষ্ট্য আছে যা ব্রণ এবং অন্যান্য ত্বকের সমস্যা দূরে রাখে।
  • আপনার ত্বককে হাইড্রেটেড রাখে- দইয়ে থাকা ফ্যাট আপনার ত্বকের আদ্রতা ধরে রাখে, এবং ত্বককে দীর্ঘক্ষণ হাইড্রেটেড রাখে। এতে থাকা ল্যাকটিক এসিড রোদে পোড়া ভাব, নিস্তেজতা এবং ত্বকের গাঢ় রঙ উজ্জ্বল করে।
  • আপনার ত্বককে শীতল করে- দই আপনার ত্বকে শীতল প্রভাব ফেলে। এটি এ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল বৈশিষ্ট্যের সাহায্যে প্রদাহ এবং ব্রণ দূর করে এবং দাগও দূর করে।

এই সকল বৈশিষ্ট্যগুলো দইকে একটি চমৎকার ত্বকের যত্নের উপাদান করেছে এবং এখানে দেখানো হল কিভাবে আপনি এটি ব্যবহার করবেনঃ

বিভিন্ন ধরণের ত্বকের জন্য দইয়ের ১০ টি ফেইস প্যাক

১. দই এবং মধুর ফেইস প্যাক

উপযুক্তঃ স্বাভাবিক থেকে শুরু করে শুষ্ক ত্বকের জন্য।

উপকরণ

  • ২ টেবিল চামচ দই
  • ২ টেবিল চামচ কাঁচা মধু

প্রস্তুত সময়

২ মিনিট

প্রক্রিয়া

  • একটি পাত্রে দই এবং মধু একসাথে নিয়ে মশ্রিণ পেস্ট না হওয়া পর্যন্ত মিশাতে থাকুন।
  • একটি ক্লিনজার দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন এবং তোয়ালে দিয়ে মুখ মুছে নিন।
  • মিশ্রণটি মুখে লাগান এবং ২০ মিনিট মুখে রেখে দিন।
  • ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।

কতবার?

সপ্তাহে ১ বার।

এটা কিভাবে সাহায্য করে?

মধু এবং দই একসাথে চমৎকার ময়েশ্চারাইজিংয়ের কাজ করে। দই আপনার ত্বক হাইড্রেট করে এবং মধু সেই হাইড্রেশন আপনার ত্বকে আটকিয়ে রেখে আপনার ত্বক দীর্ঘ সময়ের জন্য নরম এবং কোমল রাখে। এই প্যাকটি রোদে পোড়া ভাব দূর করে এবং ত্বকের গাঢ় রঙ উজ্জ্বল করে, কালো দাগ এবং ব্রণের দাগ দূর করে।

২. দই এবং বেসনের ফেইস প্যাক

উপযুক্তঃ স্বাভাবিক, সংবেদনশীল এবং তৈলাক্ত ত্বকের জন্য।

উপকরণ

  • ১ টেবিল চামচ দই
  • ১ টেবিল চামচ বেসন

প্রস্তুত সময়

২ মিনিট

প্রক্রিয়া

  • একটি পাত্রে দই এবং বেসন একসাথে নিয়ে মশ্রিণ পেস্ট না হওয়া পর্যন্ত মিশাতে থাকুন।
  • একটি ক্লিনজার দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন এবং তোয়ালে দিয়ে মুখ মুছে নিন।
  • মিশ্রণটি মুখে লাগান এবং ১৫ মিনিট মুখে রেখে দিন।
  • কুসুম গরম পানি দিয়ে মিশ্রণটি ধুয়ে ফেলুন।

কতবার?

সপ্তাহে ১ বার।

এটা কিভাবে সাহায্য করে?

এই ফেইস প্যাকটি তৈলাক্ত এবং সংবেদনশীল ত্বকের জন্য খুবই উপযুক্ত কারণ এটি ব্রেকআউটস প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। এটি ব্রণের দাগ এবং অবাঞ্চিত দাগও দূর করে আপনার ত্বককে পরিষ্কার করে।

৩. দই এবং হলুদের ফেইস প্যাক

উপযুক্তঃ সব ধরণের ত্বকের জন্য।

প্রস্তুত সময়

২ মিনিট

প্রক্রিয়া

  • একটি পাত্রে দই এবং হলুদ একসাথে নিয়ে মশ্রিণ পেস্ট না হওয়া পর্যন্ত মিশাতে থাকুন।
  • একটি ক্লিনজার দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন এবং তোয়ালে দিয়ে মুখ মুছে নিন।
  • মিশ্রণটি মুখে লাগান এবং ১৫ মিনিট মুখে রেখে দিন।
  • কুসুম গরম পানি দিয়ে মিশ্রণটি ধুয়ে ফেলুন।

কতবার?

সপ্তাহে ১ বার।

এটা কিভাবে সাহায্য করে?

হলুদে খুব ভালো এ্যান্টিসেপ্টিক এবং এ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল বৈশিষ্ট্য আছে যা একে খুবই কার্যকরী ব্রণের সাথে যুদ্ধকারী উপাদান হিসেবে তৈরি করেছে। ত্বক পরিষ্কার করা ছাড়াও এই ফেইস প্যাকটি আপনার ত্বককে উজ্জ্বল করে তুলে।

৪. দই এবং লেবুর ফেইস প্যাক

উপযুক্তঃ স্বাভাবিক এবং তৈলাক্ত ত্বকের জন্য।

উপকরণ

  • ২ টেবিল চামচ দই
  • ১ টেবিল চামচ লেবুর রস

প্রস্তুত সময়

২ মিনিট

প্রক্রিয়া

  • একটি পাত্রে দই এবং লেবুর রস একসাথে নিয়ে মশ্রিণ পেস্ট না হওয়া পর্যন্ত মিশাতে থাকুন।
  • একটি ক্লিনজার দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন এবং তোয়ালে দিয়ে মুখ মুছে নিন।
  • মিশ্রণটি মুখে লাগান এবং ১৫ মিনিট মুখে রেখে দিন।
  • কুসুম গরম পানি দিয়ে মিশ্রণটি ধুয়ে ফেলুন।

কতবার?

সপ্তাহে ১ বার।

এটা কিভাবে সাহায্য করে?

লেবুর রস ভিটামিন সি সমৃদ্ধ যা আপনার মুখে কোলাজেনের উন্নতি করে ত্বকের স্বাস্থ্য পুনরুদ্ধার করে। এটি আপনার ত্বকে তেলের ভারসাম্যও রক্ষা করে এর ব্লিচিং বৈশিষ্ট্যের সাহায্যে ত্বকের অবাঞ্চিত দাগও দূর করে।

৫. দই এবং ওটসের ফেইস প্যাক

উপযুক্তঃ স্বাভাবিক এবং তৈলাক্ত ত্বকের জন্য।

উপকরণ

  • ১ টেবিল চামচ দই
  • ২ টেবিল চামচ ওটস
  • ১ ফেটানো ডিম

প্রস্তুত সময়

৫ মিনিট

প্রক্রিয়া

  • একটি পাত্রে দই, ওটস এবং ফেটানো ডিম একসাথে নিয়ে মশ্রিণ পেস্ট না হওয়া পর্যন্ত মিশাতে থাকুন।
  • একটি ক্লিনজার দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন এবং তোয়ালে দিয়ে মুখ মুছে নিন।
  • মিশ্রণটি মুখে লাগান এবং ১৫ মিনিট মুখে রেখে দিন।
  • কুসুম গরম পানি দিয়ে মিশ্রণটি ধুয়ে ফেলুন।

কতবার?

সপ্তাহে ১ বার।

এটা কিভাবে সাহায্য করে?

ওটমিল খুবই ভালো স্ক্রাবিং এজেন্ট হিসেবে কাজ করে যা ত্বকের মরা চামড়া দূর করে। যখন এটিকে দই এবং ডিমের সাথে মিশানো হয় তখন এটি খুবই চমৎকার ফেইস প্যাক হয় যা ব্ল্যাকহেডস এবং ব্রণ দূর করে আপনাকে পরিষ্কার ত্বক প্রদান করে।

৬. দই এবং টমেটোর ফেইস প্যাক

উপযুক্তঃ সব ধরণের ত্বকের জন্য।

উপকরণ

  • ১ টেবিল চামচ দই
  • ১/২ টেবিল চামচ টমেটো

প্রস্তুত সময়

২ মিনিট

প্রক্রিয়া

  • একটি পাত্রে দই এবং টমেটোর রস একসাথে নিয়ে মশ্রিণ পেস্ট না হওয়া পর্যন্ত মিশাতে থাকুন।
  • একটি ক্লিনজার দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন এবং তোয়ালে দিয়ে মুখ মুছে নিন।
  • মিশ্রণটি মুখে লাগান এবং ১৫ মিনিট মুখে রেখে দিন।
  • কুসুম গরম পানি দিয়ে মিশ্রণটি ধুয়ে ফেলুন।

কতবার?

সপ্তাহে ১ বার।

এটা কিভাবে সাহায্য করে?

এটি আরেকটি রোদে পোড়া ভাব দূরকারী ফেইস প্যাক যা ব্রণ সারাতে এবং ত্বকের স্বাস্থ্য উন্নত করতে সাহায্য করে। টমেটোর সামান্য এসিডিক পিএইচ আপনার ত্বকের পিএইচ ভারসাম্য বজায় রাখে।

৭. দই এবং আলুর ফেইস প্যাক

উপযুক্তঃ সব ধরণের ত্বকের জন্য।

উপকরণ

  • ২ টেবিল চামচ দই
  • ১ টেবিল চামচ আলুর পেস্ট
  • ১ টেবিল চামচ কাঁচা মধু

প্রস্তুত সময়

২ মিনিট

প্রক্রিয়া

  • একটি পাত্রে দই, আলুর পেস্ট এবং মধু একসাথে নিয়ে মশ্রিণ পেস্ট না হওয়া পর্যন্ত মিশাতে থাকুন।
  • একটি ক্লিনজার দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন এবং তোয়ালে দিয়ে মুখ মুছে নিন।
  • মিশ্রণটি মুখে লাগান এবং ১৫ মিনিট মুখে রেখে দিন।
  • কুসুম গরম পানি দিয়ে মিশ্রণটি ধুয়ে ফেলুন।

কতবার?

সপ্তাহে ২-৩ বার।

এটা কিভাবে সাহায্য করে?

এই দই এবং আলুর ফেইস প্যাকটি অবাঞ্চিত দাগ দূর করে আপনার ত্বকের আসল উজ্জ্বলতা বের করে আনে। এটি আপনার রোদে পুড়ে যাওয়া ত্বক ঠিক করে এবং আপনার ত্বকের প্রাকৃতিক রূপ পুনরুদ্ধার করে। যারা মুখে কালো দাগ এবং ত্বক কালো হয়ে যাওয়ার সমস্যায় ভুগছেন তাদের জন্য এটি একটি চমৎকার ফেইস প্যাক।

৮. দই এবং শসার ফেইস প্যাক

উপযুক্তঃ সব ধরণের ত্বকের জন্য।

উপকরণ

  • ২ টেবিল চামচ দই।
  • ১ টেবিল চামচ পীচের পেস্ট
  • ১ টেবিল চামচ শসার পেস্ট
  • ১ টেবিল চামচ গাজরের পেস্ট

প্রস্তুত সময়

৫ মিনিট

প্রক্রিয়া

  • একটি পাত্রে সব উপকরণ একসাথে নিয়ে মশ্রিণ পেস্ট না হওয়া পর্যন্ত মিশাতে থাকুন। আপনি চাইলে মশ্রিণ পেস্ট পাওয়ার জন্য সব উপকরণ একসাথে ব্লেন্ড করে নিতে পারেন।
  • একটি ক্লিনজার দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন এবং তোয়ালে দিয়ে মুখ মুছে নিন।
  • মিশ্রণটি মুখে লাগান এবং ২০ মিনিট মুখে রেখে দিন।
  • কুসুম গরম পানি দিয়ে মিশ্রণটি ধুয়ে ফেলুন।

কতবার?

সপ্তাহে ১ বার।

এটা কিভাবে সাহায্য করে?

এটি খুবই হাইড্রেটিং ফেইস প্যাক যেটি আপনার ত্বক শীতল এবং শান্ত করে। এছাড়াও এই ফেইস প্যাকটি রোদে পোড়াভাব দূর করে এবং আপনার ত্বকের রঙ পরিষ্কার করে।

৯. দই এবং কমলার খোসার ফেইস প্যাক

উপযুক্তঃ স্বাভাবিক এবং তৈলাক্ত ত্বকের জন্য।

উপকরণ

  • ১ টেবিল চামচ গুঁড়ো করা কমলার খোসা
  • ২ টেবিল চামচ দই

প্রস্তুত সময়

২ মিনিট

প্রক্রিয়া

  • একটি পাত্রে দই এবং কমলার খোসার গুঁড়ো একসাথে নিয়ে মশ্রিণ পেস্ট না হওয়া পর্যন্ত মিশাতে থাকুন।
  • একটি ক্লিনজার দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন এবং তোয়ালে দিয়ে মুখ মুছে নিন।
  • মিশ্রণটি মুখে লাগান এবং ২০ মিনিট মুখে রেখে দিন।
  • কুসুম গরম পানি দিয়ে মিশ্রণটি ধুয়ে ফেলুন।

কতবার?

সপ্তাহে ১-২ বার।

এটা কিভাবে সাহায্য করে?

এটি একটি সেরা ফেইস প্যাক যা ত্বক স্ক্রাব করে, ময়েশ্চারাইজ করে এবং আপনার ত্বকের রঙ উজ্জ্বল করে পরিষ্কার রূপ প্রদান করে।

১০. দই এবং মুলতানি মাটির ফেইস প্যাক

উপযুক্তঃ স্বাভাবিক এবং তৈলাক্ত ত্বকের জন্য।

উপকরণ

  • ২ টেবিল চামচ মুলতানি মাটি
  • ২ টেবিল চামচ দই

প্রস্তুত সময়

২ মিনিট

প্রক্রিয়া

  • একটি পাত্রে দই এবং মুলতানি মাটি একসাথে নিয়ে মশ্রিণ পেস্ট না হওয়া পর্যন্ত মিশাতে থাকুন।
  • একটি ক্লিনজার দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন এবং তোয়ালে দিয়ে মুখ মুছে নিন।
  • মিশ্রণটি মুখে লাগান এবং ২০ মিনিট মুখে রেখে দিন।
  • কুসুম গরম পানি দিয়ে মিশ্রণটি ধুয়ে ফেলুন।

কতবার?

সপ্তাহে ১-২ বার।

এটা কিভাবে সাহায্য করে?

মুলতানি মাটি আপনার ত্বকের অতিরিক্ত তেল শুষে নিয়ে ত্বকে তেলের ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণ করে, এছাড়াও এটি ত্বকের ধুলাবালি দূর করে এবং মুখের রক্ত চলাচলের উন্নতি করে। এটি প্রয়োজনীয় খনিজ উপাদানের সাহায্যে ত্বকে পুষ্টি জুগিয়ে ত্বকের স্বাস্থ্য পুনরুদ্ধার করে।

ধাপে ধাপে ত্বকের যত্ন নেওয়াটা আপনার কাছে ভয়াবহ যন্ত্রনা মনে হতে পারে, কিন্তু ঘরে তৈরি এই ফেইস প্যাকগুলি আপনার কোন সময় নষ্ট করা ছাড়াই আপনাকে স্বাস্থ্যজ্জোল ত্বক প্রদান করবে।

Filed Under: Face Packs and Masks

৯ টি উপায়ে অ্যালোভেরা ব্যবহার করে আপনি আজ থেকে ব্রণ দূর করতে পারেন এবং যা আপনাকে দিবে স্বাস্থ্যকর ত্বক

by Mohona Leave a Comment

অ্যালোভেরার সৌন্দর্যের উপকারিতা সারা বিশ্ব জুড়ে খুবই পরিচিত। বিশ্বাস করা হয় এই উদ্ভিদটি উত্তর আফ্রিকা, মাদাগাস্কার এবং আরব উপসাগর এলাকাতে প্রথম পাওয়া গিয়েছিল। এর রসালো উদ্ভিদটি এর পাতা, কান্ড এবং শিকরে পানি সংরক্ষণ করে যার ফলে এটি অনেক মাংশল প্রকৃতির হয়।

অ্যালোভেরার আদ্রতা, নিরাময়ক এবং শীতলকরণ বৈশিষ্ট্যের জন্য এটি ময়েশ্চারাইজার, ফেইস ওয়াশ, সাবান এবং সানস্ক্রিন লোশনে একটি সক্রিয় উপাদান হিসেবে ব্যবহৃত হয়। প্রাচীন গ্রিক এবং রোমানরা ক্ষত, কাঁটা এবং প্রদাহের চিকিৎসায় অ্যালোভেরা ব্যবহার করত। এটা বিশ্বাস করা হয় যে মিশরীয় রানী ক্লিওপেট্রা তার সৌন্দর্য বৃদ্ধির একটি অংশ হিসেবে অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করতেন।

অ্যালোভেরা কি ব্রণের জন্য ভালো?

চলুন জেনে নেই কিভাবে এই উদ্ভিদ ব্রণের চিকিৎসা করে এবং ব্রণ থেকে সৃষ্ট দাগ দূর করে।

  • অ্যালোভেরা জেলের এ্যান্টি-ব্যাক্টেরিয়াল বৈশিষ্ট্য ব্রণের চিকিৎসায় এবং ব্রণের কারনে সৃষ্ট জ্বলন কমানোয় খুবই কার্যকরী। এটি ব্রণের ক্ষত থেকে ব্যাক্টেরিয়ার সংক্রমণ প্রতিরোধ করে এবং দ্রুত গতিতে ব্রণ নিরাময় করে। এর এ্যান্টিফাংগাল বৈশিষ্ট্য ত্বকের প্রদাহ যেমন ফোঁড়া এবং পূঁজকোষ নিরাময়ের জন্য খুবই উপকারী।
  • অ্যালোভেরা জেলে উপস্থিত ম্যাগনেসিয়াম ল্যাকটেট ব্রণের কারণে হওয়া চুলকানির সমস্যা কমায়। এটি ত্বকে হওয়া ফুসকুরি এবং রোদে পোড়াভাব দূর করার ক্ষেত্রেও কার্যকরী।
  • অ্যালোভেরাতে থাকা এসট্রিনজেন্ট ব্রণ প্রতিরোধ করার জন্য ত্বকে জমে থাকা অতিরিক্ত তেল এবং ধুলোবালি দূর করে। এটি ব্রণের ব্যাথা দূর করতে পূঁজকোষের আকার কমিয়ে আনে।
  • শুধু ব্রণ নয়, অ্যালোভেরা জেল ব্রণের দাগ কমাতেও সাহায্য করে। এটি ত্বকের রঙ উজ্জ্বল করে দাগের উপস্থিতি কমিয়ে আনে।
  • ত্বকে ধুলাবালি জমলে লোমকূপগুলো বন্ধ হয়ে যায়, যার ফলে ত্বকে ব্যাক্টেরিয়ার সংক্রমণ এবং ব্ল্যাকহেডস হয়। প্রতিদিন এই জেলের ব্যবহার মুখের লোমকূপ আঁটসাঁট করে, যার ফলে, লোমকূপে জীবাণুর সংক্রমণ হ্রাস পায়।
  • অ্যালোভেরা জেল এবং অ্যালোভেরা রস ব্যবহারের উপকারিতা ব্যাপকভাবে বিজ্ঞানীদের দ্বারা অধ্যয়ন করা হয়েছে এবং কিভাবে অ্যালোভেরা একটি স্বাস্থ্যকর ত্বক পেতে সাহায্য করে তা উপরে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে।

ব্রণের জন্য কিভাবে অ্যালোভেরা ব্যবহার করবেন?

ব্রণ প্রতিরোধ করার জন্য অ্যালোভেরা ব্যবহারের অসংখ্য উপায় আছে। এদের সম্পর্কে আরো জানার জন্য পড়তে থাকুন।

১. মধু এবং অ্যালোভেরা।

২. অ্যালোভেরা এবং লেবু।

৩. অ্যালোভেরা এবং হলুদ।

৪. টি ট্রি তেল এবং অ্যালোভেরা।

৫. বেবি ওয়েল এবং অ্যালোভেরা।

৬. অ্যালোভেরা জেলের সাথে ভিটামিন ই।

৭. আপেল সিডার ভিনেগার এবং অ্যালোভেরা।

৮. অ্যালোভেরা, দুধ এবং চিনির মাস্ক।

৯. ব্রণের চিকিৎসায় অ্যালোভেরা এবং কসমেটিক কাদামাটি।

ব্রণের চিকিৎসায় কিভাবে অ্যালোভেরা ব্যবহার করবেন তা নিচে দেওয়া হলোঃ

১. মধু এবং অ্যালোভেরা

উপকরণ

  • ১ টেবিল চামচ অ্যালোভেরা জেল
  • ১ টেবিল চামচ অপরিশোধিত মধু
  • ১-২ চা চামচ গোলাপ জল

প্রস্তুতি

অ্যালোভেরা জেল, মধু এবং গোলাপ জল একসাথে ব্লেন্ড করে একটি মশ্রিণ পেস্ট তৈরি করুন। আপনি আপনার মুখের রঙ উজ্জ্বল করতে মুখের মাস্কটিতে এক চিমটি হলুদ যোগ করতে পারেন।

কিভাবে লাগাবেন?

  • ব্রণে আক্রান্ত স্থানে মাস্কটি লাগান এবং ২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।
  • ব্রণ থেকে মুক্তি পেতে এই মাস্কটি সপ্তাহে ৩ বার ব্যবহার করুন।

এটা কিভাবে কাজ করে?

মধু একটি এ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল এজেন্ট এবং মধু নানা রকম এ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বহন করে। এটি আপনার ত্বককে পুনরায় হাইড্রেট করে এবং এতে উৎপাদিত অতিরিক্ত তেল নিয়ন্ত্রনে চলে আসে। মধুতে পরিষ্কারক এবং নিরাময়ক বৈশিষ্ট্য আছে যা ব্রণ ছাড়াও ত্বকের আরো অনেক সমস্যা সমাধানে খুবই উপকারী।

২. অ্যালোভেরা এবং লেবুর রস

উপকরণ

  • ১-২ টেবিল চামচ অ্যালোভেরা জেল
  • কয়েক ফোঁটা লেবুর রস

প্রস্তুতি

অ্যালোভেরা জেলে লেবুর রস যোগ করুন এবং পেস্ট তৈরি করতে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন।

কিভাবে লাগাবেন?

  • আপনার মুখে এবং গলাতে মাস্কটি লাগান এবং সারারাত রেখে দিন।
  • যদি আপনার কাছে মাস্কটি খুব আঠালো মনে হয়, তাহলে অন্তত ১ ঘন্টা মাস্কটি মুখে রেখে ধুয়ে ফেলুন।
  • ব্রণ না যাওয়া পর্যন্ত প্রতিদিন রাতে এই মাস্কটি ব্যবহার করুন।

এটা কিভাবে কাজ করে?

লেবু এবং মধুর এ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল বৈশিষ্ট্য ব্রণ দূর করে এবং ব্রণের বার বার ফিরে আসা প্রতিরোধ করে। লেবুর রস আপনার ত্বক পরিষ্কার এবং দূষনমুক্ত করে, এবং লোমকূপগুলো ছোট করে তাদের দূষণ হওয়া থেকে রক্ষা করে।

সতর্কতা

যদি আপনার ত্বক সংবেদনশীল হয়, তাহলে লেবুর রসের পরিবর্তে টমেটোর রস ব্যবহার করুন কারন টমেটো কোমল প্রকৃতির।

৩. অ্যালোভেরা এবং হলুদ

উপকরণ

  • ১-২ চা চামচ অ্যালোভেরা জেল
  • ১/২ চা চামচ হলুদ গুড়ো
  • ১ চা চামচ বেসন

প্রস্তুতি

সব উপকরণ একসাথে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। পেস্ট বেশি ঘন হয়ে গেলে কয়েক ফোঁটা পানি যোগ করুন।

কিভাবে লাগাবেন?

  • পেস্টটি মুখে লাগান এবং ১৫-২০ মিনিট শুজিয়ে যাওয়া পর্যন্ত রাখুন।
  • পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
  • সপ্তাহে ২ বার ব্যবহার করুন।

এটা কিভাবে কাজ করে?

ব্রণের চিকিৎসার জন্য হলুদ খুবই শক্তিশালী একটি ঔষধ। এর এ্যান্টি-ব্যাক্টেরিয়াল বৈশিষ্ট্য ব্রণের ব্যাক্টেরিয়া ধ্বংস করে এবং এবং এর এ্যান্টি-ইনফ্লেমেটোরি বৈশিষ্ট্য ফোলা ভাব কমিয়ে আনে। হলুদের বহনকারী এ্যন্টি-অক্সিডেন্ট ব্রণ নিরাময় প্রক্রিয়ায় সাহায্য করে এবং ব্রণের দাগ হওয়া প্রতিরোধ করে।

সতর্কতা

হলুদের কারণে আপনার ত্বকে হলুদ দাগ পরতে পারে। এই হলুদ দাগ থেকে মুক্তি পেতে সামান্য লেবুর রস আলতোভাবে মুখে ঘষে নিতে পারেন।

৪. টি ট্রি অয়েল এবং অ্যালোভেরা

উপকরণ

  • ২-৩ চা চামচ অ্যালোভেরা জেল
  • ৩-৪ ফোঁটা টি ট্রি অয়েল

প্রস্তুতি

তেলটি অ্যালোভেরা জেলের সাথে যোগ করে মিশিয়ে নিন।

কিভাবে লাগাবেন?

  • ব্রণে আক্রান্ত স্থানে মিশ্রণটি লাগান এবং সারারাত রেখে দিন।
  • সকালে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
  • এই অ্যালোভেরা জেলের পেস্টটি প্রতিদিন লাগান যতদিন না পর্যন্ত আপনার ব্রণ চলে যায়।

এটা কিভাবে কাজ করে?

টি ট্রি অয়েল প্রাকৃতিকভাবেই এ্যন্টি-মাইক্রোবিয়াল। এটি ত্বকে উপস্থিত ব্যাক্টেরিয়া এবং ফাংগাস ধ্বংস করে। এর এ্যান্টি-ইনফ্লেমেটোরি বৈশিষ্ট্য আছে যা আক্রান্ত স্থানকে প্রশমিত করে। এই তেল মেদ গ্রন্থি থেকে রসের নিঃসরণ নিয়ন্ত্রণ করে, বিশেষ করে তৈলাক্ত ত্বকের।

সতর্কতা

সংবেদনশীল ত্বকে টি ট্রি অয়েল ফুসকুড়ি সৃষ্টি করে। ব্যবহার করার আগে অবশ্যই হাতে লাগিয়ে পরীক্ষা করে নিবেন।

৫. বেবী অয়েল এবং অ্যালোভেরা

উপকরণ

  • ১-২ চা চামচ অ্যালোভেরা জেল
  • কয়েক ফোঁটা বেবী অয়েল

প্রস্তুতি

সব উপকরণ গুলো একসাথে মিশিয়ে নিন।

কিভাবে লাগাবেন?

  • খুব সতর্কভাবে তরলটি আপনার আক্রান্ত স্থানে লাগান, কারণ এটি গড়িয়ে পরার সম্ভবনা আছে।
  • ১ ঘন্টা মুখে রাখুন এবং কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
  • প্রতিদিন একবার ব্যবহার করুন।

এটা কিভাবে কাজ করে?

শিশুর তেল মূলত ভিটামিন ই সমৃদ্ধ একটি খনিজ তেল যা ত্বকে পুষ্টি জোগায়, ত্বক সুস্থ রাখে এবং ত্বককে হাইড্রেট করে। অতিরিক্ত তেল যা উত্পাদিত হচ্ছে এবং ব্রণ সৃষ্টি করছে তাকে নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রয়োজনীয় পরিমাণ তেল ত্বকে যোগান দিতে হবে।

সতর্কতা

নেই।

৬. অ্যালোভেরা জেলের সাথে ভিটামিন ই

উপকরণ

  • ১ টেবিল চা চামচ অ্যালোভেরা জেল
  • ১ টি ভিটামিন ই ক্যাপসুল

প্রস্তুতি

ভিটামিন ই ক্যাপসুলের ভিতরের তেল গুলো নিন এবং অ্যালোভেরা জেলের সাথে মিশিয়ে নিন।

কিভাবে লাগাবেন?

  • আক্রান্ত স্থানে এটি লাগান এবং শুকাতে দিন।
  • ১ ঘন্টা পর ধুয়ে ফেলুন। আপনি এই মাস্কটি সারারাতও মুখে লাগিয়ে রাখতে পারেন।
  • ব্রণ মিলিয়ে না যাওয়া পর্যন্ত এই মিশ্রণটি প্রতিদিন রাতে ব্যবহার করুন।

এটা কিভাবে কাজ করে?

ভিটামিন ই এর তেল এর এ্যান্টি-ইনফ্লেমেটোরি, এ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং নিরাময়ক বৈশিষ্ট্যের কারণে প্রায়ই এটি ত্বকের যত্নের পণ্যগুলোতে ব্যবহৃত হয়। এটি শুধু ব্রণ নিরাময় করতে সাহায্য করে না, আপনার ত্বক সুস্থ এবং নিখুঁত রাখে।

সতর্কতা

নেই।

৭. আপেল সিডার ভিনেগার এবং অ্যালোভেরা

উপকরণ

  • ১ টেবিল চামচ অ্যালোভেরা জেল
  • ১/২ চা চামচ আপেল সিডার ভিনেগার
  • ১/২ চা চামচ পানি

প্রস্তুতি

সব উপকরণ একসাথে মিশিয়ে নিন।

কিভাবে লাগাবেন?

  • আপনার হাত অথবা তুলোর বল ব্যবহার করে মিশ্রনটি আপনার পুরো মুখে লাগান।
  • ১৫-২০ মিনিটের জন্য এটি শুকাতে দিন এবং পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

এটা কিভাবে কাজ করে?

আপেল সিডার ভিনেগারে ম্যালিক এসিড আছে যা ত্বকের ধারক হিসেবে কাজ করে। এটি সকল ব্যাক্টেরিয়া অপসারণ করে এবং ত্বকের পিএইচ স্তর স্বাভাবিক রাখে। এটি ব্রণের মধ্যে জমে থাকা মৃত চামড়া তুলে ফেলে।

সতর্কতা

আপেল সিডার ভিনেগার সংবেদনশীল ত্বকে নাও মানাতে পারে।

৮. অ্যালোভেরা, দুধ এবং চিনির মাস্ক

উপকরণ

  • ১ টেবিল চামচ চিনি
  • ১/২ টেবিল চামচ দুধ
  • ২ টেবিল চামচ অ্যালোভেরা জেল

প্রস্তুতি

দুধে চিনি ঢালুন এবং চিনি মিশে না যাওয়া পর্যন্ত নাড়তে থাকুন। অ্যালোভেরা জেল মিশান এবং সবকিছু ভালোভাবে মিশিয়ে নিন।

কিভাবে লাগাবেন?

  • আপনার মুখে এই মাস্কটি লাগান এবং ২০ মিনিট মুখে রেখে দিন।
  • কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
  • প্রতিদিন এটি লাগান।

এটা কিভাবে কাজ করে?

দুধ ত্বক কোমল এবং পরিষ্কার করে। এছাড়াও এটি ত্বককে হাইড্রেট করে। চিনি আপনার ত্বককে দীর্ঘক্ষণ হাড্রেটেড রাখতে সাহায্য করে। এটি অতিরিক্ত তেলের নিঃসরণ কমাতে সাহায্য করে। চিনির গ্লাইকলিক এসিড ত্বকের কোষগুলোকে সুস্থ করতে সাহায্য করে।

সতর্কতা

দুধে এলার্জি থাকলে এই মাস্কটি ব্যবহার করবেন না।

৯. ব্রণের চিকিৎসায় অ্যালোভেরা এবং কসমেটিক কাদামাটি

উপকরণ

  • ১ টেবিল চামচ অ্যালোভেরা জেল অথবা জুস
  • ১ টেবিল চামচ কসমেটিক কাদামাটি ( সাদা অথবা গোলাপী)

প্রস্তুতি

মাটির শুকনো গুঁড়োতে অ্যালোভেরা জেল যোগ করুন এবং ভালোভাবে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন।

এটা কিভাবে কাজ করে?

কসমেটিক মাটিতে এ্যান্টি-ব্যাক্টেরিয়াল বৈশিষ্ট্য আছে। এটি একটি ধারক হিসেবেও কাজ করে, বিশেষ করে তৈলাক্ত ত্বকের জন্য।

সতর্কতা

আপনি যদি এর আগে কখনো কসমেটিক মাটি ব্যবহার করে না থাকেন তাহলে আপনার এতে এলার্জি আছে কিনা জানতে আপনার বাহুতে সামান্য পরিমাণ লাগিয়ে পরীক্ষা করে নিন। যদি আপনি কোন জ্বলাভাব অনুভব করেন অথবা ত্বকে যদি ফুসকুড়ি হয় তাহলে এই মাস্কটি ব্যবহার করবেন না।

এই অ্যালো মাস্কগুলো ব্যবহার ছাড়াও আপনি প্রতিদিন ২ বার অরগানিক অ্যালোভেরা সাবান ব্যবহার করতে পারেন ব্রণ কমানো এবং মসৃণ ত্বক পাওয়ার জন্য। তবে আগে নিশ্চিত হয়ে নিবেন যে সাবানে কার্যকর উপকরণ হিসেবে গ্লিসারিন আছে, যাতে এটি শুষ্ক ত্বকেও কাজ করে।

অ্যালোভেরা ব্যবহারে ব্রণ দূর হতে কতদিন সময় লাগে?

প্রতিদিন অ্যালোভেরা ব্যবহারে মাত্র কয়েকদিন সময় লাগে আপনার মুখের ব্রণে পার্থক্য লক্ষ্য করার জন্য। এগুলো খুব দ্রুত সেরে উঠা শুরু করবে কোন অস্বস্তি এবং জ্বালা-পোড়া না দিয়েই। দুই থেকে তিন সপ্তাহের মধ্যে, আপনি আপনার ব্রণের দাগেও পরিবর্তন লক্ষ্য করবেন।

এটা জানা খুবই জরুরী যে অ্যালোভেরা ব্রণ নিরাময় করে না, কিন্তু এর সাথে যুক্ত সংক্রমণ, প্রদাহ, ফোলাভাব এবং ফুসকুড়ি কমিয়ে আনে। এর জৈবিকভাবে সক্রিয় উপাদানগুলির সাথে এটি নিরাময় প্রক্রিয়া আরো দ্রুত করে। প্রতিদিন এই জেল ব্যবহার করলে ভবিষ্যতে আবার ব্রণ হওয়া প্রতিরোধ রোধ করে।

তাহলে আর দেরি কেনো? এখনি অ্যালোভেরাকে আপনার বন্ধু বানিয়ে ফেলুন এবং প্রতিদিন ব্যবহার শুরু করুন।

Filed Under: Acne

লেবুর রস দিয়ে দ্রুত ব্রণের দাগ দূর করুন [আশ্চর্য যাদুকরি গুন] নিয়ম দেওয়া হলো

by Mohona Leave a Comment

আপনার মুখে কি ব্রণের দাগ আছে? এবং আপনি কি এই দাগ থেকে নিস্তার পেতে চান? আপনি কি ওটিসি ট্রিটমেন্ট করিয়েও কোন ফল পাননি? তাহলে লেবুর রসের ব্যবহার আপনার জন্য সবচেয়ে উত্তম পথ।

লেবুতে এ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, পরিষ্কারক, ত্বক উজ্জ্বলকারী এবং অ্যাস্ট্রিনজেন্ট বৈশিষ্ট্য আছে এবং প্রচুর প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান আছে যেমন ভিটামিন সি এবং সাইট্রিক এসিড। এই সব উপাদান ব্রণ দূর করার জন্য খুবই কার্যকরী এবং ব্রণের কারণে সৃষ্ট দাগও দূর করে।

আপনি কি এই সম্পর্কে আরো জানতে চান? তাহলে পড়তে থাকুন।

ব্রণের দাগ দূর করতে কিভাবে লেবুর রস ব্যবহার করবেন?

লেবুতে এ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে যার নাম বায়োফ্লেভানয়েডস। এই এ্যান্টি-অক্সিডেন্টটি অগনিত স্বাস্থ্য সমস্যা যেমন সাধারণ সর্দি এবং কাশি থেকে শুরু করে জটিল ধরণের রোগেরও চিকিৎসা করতে পারে। এছাড়াও, ইতোমধ্যে বলা হয়েছে, লেবুতে এমন গুণ আছে যা ত্বককে উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে যার ফলে ব্রণের দাগ কম দৃশ্যমান হয়। এখানে এই উপকারী রসটি ব্যবহারের কয়েকটি উপায় দেওয়া হয়েছে যা আপনার মুখের ব্রণের দাগ দূর করতে সাহায্য করবে।

১. লেবুর রস এবং দই

লেবু এবং দই দুটিই আপনার ত্বকের জন্য আশীর্বাদ স্বরূপ, এবং এই দুটি একসাথে আপনার মুখের ব্রণের দাগ থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করে।

আর তার জন্য আপনাকে যা করতে হবে তা হলোঃ

  • একটি পাত্রে লেবুর রস এবং দই একসাথে মিশিয়ে নিন।
  • ভালোভাবে মিশে যাওয়ার পর একটি তুলার বল নিন এবং মিশ্রণের মধ্যে ডুবিয়ে নিন।
  • তুলায় থাকা অতিরিক্ত মিশ্রণ নিঙরে নিন এবং এরপর তুলোটি দিয়ে আপনার মুখে মিশ্রণগুলো লাগান। ব্রণের দাগে আক্রান্ত স্থানে ভালোভাবে লাগাবেন।
  • ২০ থেকে ৩০ মিনিট এই মিশ্রণটি মুখে থাকতে দিন যাতে আপনার ত্বক এর পুষ্টিগুণ ভালোভাবে শুষে নিতে পারে।
  • ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন এবং নরম তোয়ালে দিয়ে মুখ মুছে নিন।
  • ব্রণ এবং ব্রণের দাগ দূর করতে প্রতিদিন এটি ব্যবহার করুন।

লেবুর রস আপনার ব্রণ দূর করতে সাহায্য করে এবং আপনার ত্বক উজ্জ্বল করে আর দই আপনার ত্বকে শীতল প্রভাব ফেলে, বিশেষ করে আপনার আক্রান্ত স্থানে।

২.লেবুর রস, গোলাপ জল এবং শসার রস

এটি ব্রণের দাগ দূর করার একটি কার্যকরী প্রক্রিয়া যা আপনার ত্বকের জন্য খুবই ভালো। এটি শুধুমাত্র আপনার ত্বকের দাগই দূর করবে না, আপনার ত্বক উজ্জ্বল করবে, ত্বক সতেজ করবে যা সবসময় আপনি চান।

এর জন্য আপনাকে যা করতে হবে তা হলোঃ

  • একটি পাত্রে সমপরিমাণ লেবুর রস, গোলাপ জল এবং শসার রস একসাথে মিশিয়ে নিন।
  • এই প্রাকৃতিক মিশ্রণটি আপনার পুরো মুখে লাগান, ব্রণের দাগের স্থানে ভালোভাবে লাগান।
  • ১০-১৫ মিনিট রেখে দিন।
  • ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
  • ব্রণের দাগ থেকে মুক্তি পেতে প্রতিদিন এটি ব্যবহার করুন।

লেবুর রস আপনার ত্বক উজ্জ্বল করে বিশেষ করে দাগযুক্ত স্থানকে উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে এবং শসা আপনার ত্বককে শীতল করে। আপনার ত্বক যাতে বেশী শুষ্ক হয়ে না যায় তা গোলাপ জল নিশ্চিত করে এবং এটি ত্বক নরম এবং উজ্জ্বল করে তুলে।

৩. লেবুর রস এবং ডিমের সাদা অংশ

লেবুর রস এবং ডিমের সাদা অংশ আপনার ত্বকের ব্রণে আক্রান্ত জায়গাতে চমৎকার প্রভাব ফেলে। এরা র‍্যাডনেস কমাতে সাহায্য করে এবং দাগও দূর করে।

এই কার্যকরী প্রতিকারটি ব্যবহার করতে আপনাকে যা করতে হবে তা হলোঃ

  • একটি পাত্রে সমপরিমাণ লেবুর রস এবং ডিমের সাদা অংশ মিশান।
  • ভালোভাবে মিশান যাতে দুইটি উপাদান সঠিকভাবে ব্লেন্ড হয়।
  • মিশ্রণটি ব্রণের দাগের উপর লাগান এবং সারারাত লাগিয়ে রাখুন।
  • পরেরদিন সকালে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন এবং মুখ শুকিয়ে নিন।

ব্রণের কারণে সৃষ্ট সকল দাগ দূর করতে এই প্রতিকারটি প্রতিদিন ব্যবহার করুন এবং উজ্জ্বল, পরিষ্কার ত্বক পান। এই মাস্কটি ব্রণের দাগ থেকে পরিত্রান পাওয়ার চমৎকার একটি উপায় এবং এটি আপনার ত্বকও উজ্জ্বল করে যাতে আপনার মুখে কোন দাগ না থাকে।

ব্রণের দাগের জন্য লেবুর রস ব্যবহার করার আরো অনেক উপায় আছে। আপনি এর সাথে পুদিনা অথবা বেসিল পাতা মিশাতে পারেন, এছাড়াও মধু ব্যবহার করে এই সমস্যার জন্য প্রাকৃতিক প্রতিকার বানাতে পারেন।

বাণিজ্যিক পণ্য যেগুলো অভিনব বিজ্ঞাপন দিয়ে খুব দ্রুত দাগ দূর করার প্রতিশ্রুতি প্রদান করে, এই সব পণ্যের কথা ভুলে যান; কারণ তারা খুবই কম কাজ করে। এর পরিবর্তে, সকল প্রাকৃতিক, সহজলভ্য প্রতিকার যেমন লেবুর রস বাছাই করুন যেগুলো ত্বকে কোন প্রকার সমস্যা না করে ব্রণের দাগ দূর করে আপনাকে সুন্দর ত্বক পেতে সাহায্য করে।

Filed Under: Acne

গোলাপ জলের ১১টি দুর্দান্ত ব্যবহার যা আপনাকে দ্রুত ব্রণ দূর করতে সাহায্য করবে [নিয়ম দেওয়া হল]

by Mohona Leave a Comment

গোলাপ জল খুবই সস্তা। টোনার হিসেবে ব্যবহার করা ছাড়াও এটি যে একটি সৌন্দর্য বৃদ্ধির উপকরণ হিসেবে ব্যবহার হতে পারে তা বেশিরভাগ মানুষ জানেই না। আপনার ত্বকের পিএইচ লেভেল ব্যালেন্স করা থেকে শুরু করে ত্বকের জ্বালা-পোড়া দূর করা এবং মেকআপ অপসারণ করা, গোলাপ জল একাই সব করতে পারে।

কিন্তু আমি বাজি ধরে বলতে পারি আপনি জানেন না যে গোলাপ জল ব্রণ দূর করতেও সাহায্য করে। আর কিভাবে গোলাপ জল ব্রণ দূর করতে সাহায্য করে তা জানতে হলে পড়তে থাকুন।

ব্রণের বিরুদ্ধে গোলাপ জল কি আসলেই কার্যকরী?

গোলাপ জলে এ্যান্টিসেপ্টিক এবং এ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা একে কার্যকরী ব্রণ-প্রতিরোধকারী উপকরণ হিসেবে তৈরি করে। গোলাপ জল শুধু ব্রণ সৃষ্টিকারী ব্যাক্টেরিয়া দূর করতেই সাহায্য করে না, এটি ব্রণের দাগ দূর করে মুখ পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। ব্রণের অন্য সকল সাময়িক চিকিৎসার মধ্যে গোলাপ জল আপনার ত্বকে অত্যন্ত ভালো কাজ করে।

এমনকি, সংবেদনশীল ত্বকে ব্যবহার করলেও কোন প্রকার জ্বলন অনুভূত হয় না। এছাড়াও, গোলাপ জল একটি ঠান্ডা প্রভাব ফেলে যা র‍্যাডনেস এবং ক্ষতিগ্রস্থ ত্বক সারিয়ে তুলতে সাহায্য করে। এটি আপনার মুখের লোমকূপের দূষিত কণা বের করে আনতে সাহায্য করে, তেলের উৎপাদন নিয়ন্ত্রন করে, এছাড়াও আপনার মুখের লোমকূপগুলো ছোট করতে সাহায্য করে এবং ভবিষ্যতের ব্রেকআউট গুলো প্রতিরোধ করে।

এখানে, আমি ব্রণের চিকিৎসায় গোলাপ জল ব্যবহার করার ১১ টি উপায় বর্ণনা করেছি।

ব্রণের জন্য কিভাবে গোলাপ জল ব্যবহার করবেন

১. গোলাপ জলের স্প্রে

প্রক্রিয়া

  • খাঁটি গোলাপ জল
  • স্প্রে বোতল
  • ফেসিয়াল ক্লিনজার
  • ময়েশ্চারাইজার
  • ফেসিয়াল টিস্যু

সময়

২ মিনিট

প্রক্রিয়া

  • আপনার মুখ ফেসিয়াল ক্লিনজার দিয়ে পরিষ্কার করে নিন।
  • একটি স্প্রে বোতলে খাঁটি গোলাপ জল ভরে নিন।
  • গোলাপ জল আপনার মুখে স্প্রে করুন। ২০ সেকেন্ড অপেক্ষা করুন এবং এরপর টিস্যূ দিয়ে মুছে ফেলুন।
  • একটি তেলমুক্ত ময়েশ্চারাইজার আপনার মুখে লাগান।
  • যখন আপনার স্প্রে করার দরকার হবে তখনই সাথে সাথে স্প্রে করতে পারবেন।

কতবার?

দিনে ৩-৪ বার।

এটা কিভাবে কাজ করে?

গোলাপ জলে খুব ভালো এন্টিব্যাক্টেরিয়াল এবং পিএইচ ব্যালেন্স করার বৈশিষ্ট্য আছে। এটি অতিরিক্ত তেল দূর করতে সাহায্য করে এবং আপনার ত্বকে ও লোমকূপে জমে থাকা ধূলাবালি দূর করে। যা ব্রণ দূরে রাখতে সাহায্য করে।

২. ভিটামিন সি এবং গোলাপ জল

উপকরণ

  • ১ চা চামচ ভিটামিন সি ট্যাবলেটের পাউডার
  • ১ চা চামচ খাঁটি গোলাপ জল
  • ফেসিয়াল ক্লিনজার

সময়

১০ মিনিট

প্রক্রিয়া

  • ফেসিয়াল ক্লিনজার দিয়ে আপনার মুখ পরিষ্কার করে নিন।
  • ভিটামিন সি ট্যাবলেটের পাউডার এবং গোলাপ জল একসাথে মিশিয়ে নিন।
  • মিশ্রণটি আপনার মুখের আক্রান্ত স্থানে লাগান।
  • ১০ মিনিট মুখে রেখে দিন এবং ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
  • আপনার মুখ শুকিয়ে নিন।

কতবার?

দিনে ১ বার।

এটা কিভাবে কাজ করে?

ভিটামিন সি তে প্রচুর এ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আছে যা ক্ষতিগ্রস্থ ত্বক ঠিক করতে সাহায্য করে। এতে শক্তিশালী এ্যন্টি-ইনফ্লেমেটোরি আছে যা ব্রণ থেকে খুব দ্রুত মুক্তি পেতে সাহায্য করে। ভিটামিন সি কোলাজেনের উৎপাদন বৃদ্ধিতে সাহায্য করে যা ব্রণের দাগ দূর করে।

৩. লেবুর রস এবং গোলাপ জল

উপকরণ

  • ১ চা চামচ লেবুর রস
  • ১ চা চামচ খাঁটি গোলাপ জল
  • তুলা
  • ফেসিয়াল ক্লিনজার

সময়

১৫ মিনিট

প্রক্রিয়া

  • আপনার মুখ ফেসিয়াল ক্লিনজার দিয়ে ধুয়ে নিন এবং শুকিয়ে নিন।
  • লেবুর রস এবং গোলাপ জল মিশিয়ে নিন এবং এতে একটি তুলা ডুবিয়ে নিন।
  • তুলাটি আপনার মুখে লাগিয়ে মিশ্রণটি লাগান।
  • ১৫ মিনিট মিশ্রনটি মুখে রাখুন এবং এরপর ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।

কতবার?

ব্রণ না কমা পর্যন্ত সপ্তাহে ৩-৪ বার ব্যবহার করুন।

এটা কিভাবে কাজ করে?

লেবুর রসে প্রচুর ভিটামিন সি রয়েছে, আর তাই চিকিৎসার জন্য ভিটামিন সি পাউডারো খুব ভালো বিকল্প হিসেবে ব্যবহার হতে পারে। এছাড়াও এতে প্রচুর এ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা আপনার ত্বককে স্বাস্থ্যকর, উজ্জ্বল এবং নবীন রাখতে সাহায্য করে। এই উপকরণটি একটি কোমল উজ্জ্বলকারী এজেন্ট যা ব্রণের দাগ দূর করতে সাহায্য করে।

৪. গ্লিসারিন এবং গোলাপ জল

উপকরণ

  • ১ ১/২ কাপ গোলাপ জল
  • ১/৪ কাপ গ্লিসারিন
  • ফেসিয়াল ক্লিনজার
  • ময়েশ্চারাইজার
  • তুলা

সময়

২ মিনিট

প্রক্রিয়া

  • আপনার মুখ ফেসিয়াল ক্লিনজার দিয়ে পরিষ্কার করে নিন।
  • গ্লিসারিন এবং গোলাপ জল একটি পাত্রে মিশিয়ে নিন।
  • একটি তুলা মিশ্রণে ডুবিয়ে নিন।
  • এরপর ডুবানো তুলাটি আপনার মুখে লাগিয়ে মিশ্রণগুলো ভালোভাবে লাগিয়ে নিন। এরপর মুখ শুকাতে দিন।
  • শুকিয়ে যাওয়ার পর মুখে ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিন।

কতবার?

দিনে ১-২ বার।

এটা কিভাবে কাজ করে?

এই প্রতিকারটি আপনার শুষ্ক এবং ব্রণ প্রবণ ত্বকের জন্য খুবই আদর্শ প্রতিকার। গ্লিসারিন আপনার ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা করে এবং আপনার ত্বকে জমে থাকা ধূলাবালি ও তেল দূর করতে সাহায্য করে। মিশ্রণটি আপনার লোমকূপের দূষিত কণা দূর করে এবং লোমকূপগুলো পরিশোধিত করে তুলে।

৫. মুলতানি মাটি এবং গোলাপ জল

প্রক্রিয়া

  • ১ টেবিল চামচ মুলতানি মাটি
  • ১ টেবিল চামচ গোলাপ জল
  • ফেসিয়াল ক্লিনজার

সময়

১৫ মিনিট

প্রক্রিয়া

  • ফেসিয়াল ক্লিনজার দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন।
  • মুলতানি মাটি এবং গোলাপ জল মিশিয়ে একটি মসৃণ মিশ্রণ তৈরি করুন।
  • ফেইস প্যাকের মত এই মিশ্রনটি আপনার মুখে লাগান এবং শুকাতে দিন।
  • শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে প্যাকটি পরিষ্কার করে নিন।

কতবার?

সপ্তাহে ২-৩ বার ব্যবহার করতে পারেন।

এটা কিভাবে কাজ করে?

মুলতানি মাটিতে প্রয়োজনীয় মিনারেল আছে যা আপনার ত্বকে পুষ্টি জোগাতে সাহায্য করে এবং ত্বকের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে। এই মাস্কটি আপনার ত্বকের ভেতর থাকা অতিরিক্ত তেল এবং দূষিত কণা বের করে এনে ব্রণ ধ্বংস করে এবং আপনার ত্বককে সতেজতা প্রদান করে।

৬. বেকিং সোডা এবং গোলাপ জল

উপকরণ

  • ২ চা চামচ বেকিং সোডা
  • ২ চা চামচ গোলাপ জল
  • ফেসিয়াল ক্লিনজার

সময়

১ মিনিট

প্রক্রিয়া

  • প্রথমেই আপনার মুখ ফেসিয়াল ক্লিনজার দিয়ে পরিষ্কার করে নিন।
  • বেকিং সোডা এবং গোলাপ জল একসাথে মিশিয়ে মশ্রিণ পেস্ট তৈরি করে নিন।
  • আপনার মুখে পেস্টটি লাগান।
  • আলতোভাবে আপনার মুখে পেস্টটি বৃত্তাকার ভাবে ম্যাসাজ করুন।
  • এক মিনিট ম্যাসাজ করার পর ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।

কতবার?

সপ্তাহে ২-৩ বার।

এটা কিভাবে কাজ করে?

বেকিং সোডা একটি চমৎকার পরিষ্কারক এজেন্ট যা ত্বকের অতিরিক্ত তেল, ধুলাবালি এবং মৃত চামড়া দূর করতে সাহায্য করে। এটি নিজে আপনার ত্বকে ব্রণের জন্য প্রতিকূল পরিবেশ তৈরি করে বার বার ব্রণ হওয়ার সম্ভবনা কমিয়ে দেয়। এই চিকিৎসাটি আপনার ত্বকের পিএইচ লেভেল ব্যালেন্স করতে সাহায্য করে।

৭. আপেল সিডার ভিনেগার

উপকরণ

  • ২ চা চামচ আপেল সিডার ভিনেগার
  • ১/২ কাপ গোলাপ জল
  • ফেসিয়াল ক্লিনজার
  • তুলা
  • ময়েশ্চারাইজার

সময়

২ মিনিট

প্রক্রিয়া

  • একটি ফেসিয়াল ক্লিনজার দিয়ে আপনার মুখ পরিষ্কার করে নিন।
  • একটি পাত্রে আপেল সিডার ভিনেগার এবং গোলাপ জল মিশিয়ে নিন।
  • মিশ্রণে একটি তুলা ডুবিয়ে নিন।
  • মিশ্রণে ডুবানো তুলাটি আপনার মুখে লাগান।
  • তুলা থেকে মিশ্রণ মুখে লেগে গেলে মুখটি শুকাতে দিন।
  • মুখ শুকিয়ে গেলে মুখে ময়েশ্চারাইজার লাগান।

কতবার?

দিনে ১-২ বার।

এটা কিভাবে কাজ করে?

এই ট্রিটমেন্টটি তৈলাক্ত ত্বকের মানুষের জন্য খুবই আদর্শ। আপেল সিডার ভিনেগার আপনার ত্বকে প্রচুর এ্যান্টিঅক্সিডেন্ট প্রদান করে ত্বকে তেলের উৎপাদন নিয়ন্ত্রন করে। এছাড়াও এটি আপনার লোমকূপের দুষিত কণা দূর করে এবং লোমকূপগুলো পরিশোধন করে ভবিষ্যতে ব্রণ হওয়ার সম্ভবনা প্রতিরোধ করে।

৮. বেসন এবং গোলাপ জল

উপকরণ

  • ১ টেবিল চামচ বেসন
  • ১ টেবিল চামচ গোলাপ জল
  • ফেসিয়াল ক্লিনজার

সময়

১৫ মিনিট

প্রক্রিয়া

  • ফেসিয়াল ক্লিনজার দিয়ে মুখ পরিষ্কার করে নিন।
  • বেসন এবং গোলাপ জল মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিন।
  • ফেইস প্যাকের মত করে আপনার মুখে মিশ্রণটি লাগান এবং শুকাতে দিন।
  • একবার শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে প্যাকটি তুলে ফেলুন।

কতবার?

সপ্তাহে ১-২ বার।

এটা কিভাবে কাজ করে?

এই ফেইস প্যাকটি আপনার লোমকূপকে গভীর থেকে পরিষ্কার করে এবং লোমকূপকে দূষণমুক্ত করে। এছাড়াও এটি ত্বকের মৃত কোষ দূর করতে সাহায্য করে এবং লোমকূপের আকার ঠিক করতে সাহায্য করে। বেসন আপনার ত্বক থেকে অতিরিক্ত তেল বের করে এনে আপনার ব্রণকে ছোট করতে সাহায্য করে।

৯. উইচ হ্যাজেল (Witch Hazel) এবং গোলাপ জল

উপকরন

  • ১ চা চামচ উইচ হ্যাজেল
  • ১ চা চামচ গোলাপ জল
  • তুলা
  • ফেসিয়াল ক্লিনজার
  • ময়েশ্চারাইজার

সময়

২ মিনিট

প্রক্রিয়া

  • ফেসিয়াল ক্লিঞ্জার দিয়ে মুখ পরিষ্কার করে নিন।
  • একটি পাত্রে উইচ হ্যাজেল এবং গোলাপ জল মিশিয়ে নিন।
  • মিশ্রণে একটি তুলা ডুবিয়ে নিন।
  • মিশ্রণে ডুবানো তলাটি আপনার মুখে লাগান।
  • তুলা থেকে মিশ্রণ মুখে লেগে গেলে মুখটি শুকাতে দিন।
  • মুখ শুকিয়ে গেলে মুখে ময়েশ্চারাইজার লাগান।

কতবার?

দিনে ১-২ বার।

এটা কিভাবে কাজ করে?

উইচ হ্যাজেল আপনার ত্বকের জ্বালা-পোড়া কমিয়ে এনে আপনার ত্বকে ক্ষত নিরাময় ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। এছাড়াও এটি চুলকানি দূর করতে সাহায্য করে। এই প্রতিকারটি আপনার ত্বক পরিষ্কার, স্বাস্থ্যকর এবং ব্রণ থেকে মুক্ত রাখতে সাহায্য করে।

১০. চন্দন কাঠ এবং গোলাপ জল

উপকরণ

  • ২ টেবিল চামচ চন্দন গূড়ো
  • ১ টেবিল চামচ গোলাপ জল
  • ফেসিয়াল ক্লিনজার

সময়

১৫ মিনিট

প্রক্রিয়া

  • ফেসিয়াল ক্লিনজার দিয়ে মুখ পরিষ্কার করে নিন।
  • চন্দন গুড়ো এবং গোলাপ জল মিশিয়ে একটি মশ্রিণ পেস্ট তৈরি করে নিন।
  • ফেইস প্যাকের মত করে আপনার মুখে মিশ্রণটি লাগান এবং শুকাতে দিন।
  • একবার শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে প্যাকটি তুলে ফেলুন।

কতবার?

সপ্তাহে ১-২ বার।

এটা কিভাবে কাজ করে?

চন্দন কাঠ একটি আয়ুরবেদিক উপকরণ যা ব্রণ সহ বিভিন্ন রকম ত্বকের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। এটি ত্বকের জ্বালা-পোড়া কমিয়ে দেয় এবং ত্বকের অতিরিক্ত তেল এবং ধূলাবালি দূর করে ত্বককে শীতল করে তুলে।

১১. শসা, মধু এবং গোলাপ জল

উপকরণ

  • ২ ইঞ্চি তাজা শসা
  • ২ টেবিল চামচ মধু
  • ১ টেবিল চামচ গোলাপ জল
  • ফেসিয়াল ক্লিনজার

সময়

৩০ মিনিট

প্রক্রিয়া

  • ফেসিয়াল ক্লিনজার দিয়ে মুখ পরিষ্কার করে নিন।
  • শসা ব্লেন্ড করে নিন এবং এর সাথে মধু ও গোলাপ জল মিশিয়ে নিন।
  • ফেইস প্যাকের মত করে আপনার মুখে মিশ্রণটি লাগান এবং শুকাতে দিন।
  • একবার শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে প্যাকটি তুলে ফেলুন।

কতবার?

সপ্তাহে ১-২ বার।

এটা কিভাবে কাজ করে?

এই ফেইস প্যাকটি সংবেদনশীল ত্বকের নারীদের জন্য উপযুক্ত। এটি শুধু মাত্র খুব হালকা নয়, এটি চমৎকার এ্যান্টিসেপ্টিক (মধু থেকে) এবং এ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল (গোলাপ জল) বৈশিষ্ট্যের সাহায্যে ব্রণের সাথে যুদ্ধ করতে সাহায্য করে। শসা আপবার ত্বকে শীতল প্রভাব ফেলে আপনার ত্বকের প্রদাহ এবং র‍্যাডনেস দূর করে।

প্রাকৃতিকভাবে তৈরি প্রতিকারগুলোর থেকে ভালো আর কিছুই হতে পারে না। যদি আপনি ব্রণের সমস্যায় ভুগে থাকেন তাহলে এখনি সময় এক বোতল গোলাপ জল সংগ্রহ করার এবং তা আপনার ভালোর জন্য ব্যবহার করার।

Filed Under: Acne

  • « Go to Previous Page
  • Page 1
  • Interim pages omitted …
  • Page 3
  • Page 4
  • Page 5
  • Page 6
  • Page 7
  • Page 8
  • Go to Next Page »

Primary Sidebar

সাম্প্রতিক লেখা

১৬টি সেরা খাবার সকালবেলার দৌড়ের পর খাওয়ার জন্য – পোস্ট-রান রিকভারি পুষ্টি

ওজন কমাতে সেরা ২০টি ডিটক্স স্মুদি: উপাদান, প্রস্তুতি ও উপকারিতা

সহজে হজম হয় এমন ১৬টি হালকা খাবারের রেসিপি

Low FODMAP Diet: ৩ ধাপের পরিকল্পনা ও কোন খাবার খাবেন, কোনটা এড়িয়ে চলবেন

প্যালিও ডায়েট: উপকারিতা, ঝুঁকি ও ৭ দিনের খাবার পরিকল্পনা

বিভাগ সমূহ

  • Fashion
  • HAIR CARE (চুলের যত্ন)
    • Basic Hair Care (বেসিক হেয়ার কেয়ার)
    • Dandruff (খুশকি)
    • Dry Hair Care (শুকনো হেয়ার কেয়ার)
    • Hair Care Ideas
    • Hair Fall ( চুল পড়া)
    • Hair Growth ( চুল বৃদ্ধি)
    • Hair Treatment (চুল চিকিৎসা)
    • Oily Hair Care ( তৈলাক্ত চুলের যত্ন)
  • HEALTH & WELLNESS (স্বাস্থ্য ও সুস্থতা)
    • Diet Tips
    • Fitness
    • Healthy Food
    • Home Remedies
    • Ingredients and Uses
    • Nutrition (পুষ্টি)
    • Weight Gain
    • Weight Loss (ওয়েট লস)
  • Lifestyle (জীবনযাপন )
  • MAKEUP (মেকআপ)
    • Bridal Makeup (ব্রাইডাল মেকআপ)
    • Eye Makeup (চোখের সাজসজ্জা)
    • Lip Make up (লিপ আপ করুন)
  • SKIN CARE (ত্বকের যত্ন)
    • Acne
    • Anti Ageing
    • Beauty Secrets
    • Dry Skin
    • Face Care Tips
    • Face Packs and Masks
    • Glowing skin
    • Homemade Tips
    • Oily Skin
    • Skin Care Ideas
    • Skin Care Problems
    • Sunscreen
  • Top 10's

Copyright © 2025 · RUP KOTHON · All rights reserved ®